Posts

Showing posts from August, 2023

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের প্রয়োগ বিধি

Image
  হোমিওপ্যাথিক ঔষধের পুণ প্রয়োগ হতে পারে। তবে এটা যাতে ঘন প্রয়োগ না হয়। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ অন্যান্য ঔষধের মতো ঔষধ নয়। এটি প্রথমে শক্তি ও পরে ঔষধ। তাই যখন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনের পর ক্রিয়া ভালোভাবে প্রকাশ পায় তখন ঔষধের পুণ  ও ঘন প্রয়োগ কোনটাই কাম্য নয়। ঔষধের ক্রিয়া ভালোভাবে প্রকাশ পেলে পুণ প্রয়োগের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আর ক্রিয়া প্রকাশ না পেলে সমপ্রকৃতির অন্য আরেকটি ঔষধ নির্বাচন করতে হবে। তবে বিকৃত ক্রিয়া প্রকাশ হলে পূর্বের ঔষধের বিপরীত প্রকৃতির ঔষধ সেবন করতে হবে। তবে অনেকে বলেন, ঔষধ খাওয়ার পর প্রথম কয়দিন বেশ ভালো লেগেছিলো। কিন্তু এখন আর ঔষধটি কাজ করছে না। এতে ধরে নিতে হবে, ঔষধটির ওভার ডোজ হয়েছে। এক্ষেত্রে কিছুদিন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। অন্য কোন ঔষধ সেবন না করাই শ্রেয়। কিন্তু ভালো ক্রিয়ার পর শরীর খারাপ লাগলে সমপ্রকৃতির আরেকটি ঔষধ সেবন করা। পরে আবার প্রথম ঔষধে ফিরে আসা। মো: আশরাফুল আলম খান ডিএইচএমএস ডিইউএমএস এমএ ফোন: 01728-730474

হোমিওপ্যাথির কতিপয় শব্দ

Image
  হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগণ সম্বন্ধযুক্ত, অনুপূরক বা পরিপূরক, ক্রিয়ানাশক ও পরবর্তী ঔষধ ইত্যাদি শব্দগুলোর প্রত্যেকটির সাথে পরিচিত। কিন্তু এভাবে ঔষধ নির্বাচন করে কতজন ডাক্তার সফল হয়েছেন - সেটাই আসলে বিচার্য বিষয়।  বিশেষ করে হোমিওপ্যাথিতে যারা নতুন বা শিক্ষার্থী, তারা এভাবে ঔষধ নির্বাচন করে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। আবার অনেকে আশাহত হয়ে হোমিওপ্যাথিক পেশা ছেড়ে দেন বা পেশা হিসেবে নিতে পারেন না। হোমিওপ্যাথিতে সম্বন্ধযুক্ত ঔষধ বলতে আমরা সাধারণত ক্রিয়াস্থান ভিত্তিক সমতা, প্রকৃতি বা মিজাজের সমতা ও হ্রাসবৃদ্ধির সমতাকে বুঝি। যেমন: রাসটক্সের সাথে ক্যালকেরিয়া ফ্লুরের মিজাজগত ও হ্রাসবৃদ্ধিগত সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু রাসটক্সের আরো সম্বন্ধযুক্ত ঔষধের উল্লেখ থাকলেও কতটা সম্পর্ক আছে তা আমার জানা নেই। এছাড়া অনুপূরক বা পরিপূরক ও পরবর্তী ঔষধ কতটা যুক্তিযুক্ত সে বিষয়েও আমি সন্দিহান। আমি যেটা বুঝি সেটা হলো বিপরীত প্রকৃতির ঔষধ। যেমন: আমি কোন রোগীকে এসিড ফস বা চায়না প্রয়োগে কোন রেজাল্ট পেলাম না, তখন বিপরীত প্রকৃতির ঔষধ হিসেবে এসিড পিক্রিক প্রয়োগ করি। পরবর্তী ঔষধ না বলে আমি বলবো সুনির্বাচিত ঔষধ।  একটা ঔষধ প্র...

যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধ ও সেবন বিধি

Image
 হোমিওপ্যাথিতে অনেকগুলো যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধ রয়েছে। তন্মধ্যে কতকগুলো সরাসরি যৌনশক্তিবর্ধক। যেমন: নাক্স ভম, জিনসেং, লাইকোপোডিয়াম, এসিড ফস ইত্যাদি।  আবার কতকগুলো ঔষধ গৌনক্রিয়া হিসেবে যৌনশক্তিবর্ধক। যেমন: এসিড পিক্রিক, স্যাবাল স্যারো, স্টেফিসেগ্রিয়া, চায়না ইত্যাদি। হস্তমৈথুন, অতিরিক্ত যৌনক্রিয়ার কুফল হিসেবে উদ্ভুত শারীরিক সমস্যায় এসিড পিক্রিক, স্টেফিসেগ্রিয়া ও চায়না খুব ভালো কাজ করে। আর স্যাবাল স্যারো মূলত যৌন অর্গান প্রোস্টেট এর উপর ভালো ক্রিয়া করে। আবার কতকগুলো যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধ হিসেবে উল্লেখ থাকলেও যৌনশক্তিবর্ধক হিসেবে এর কোন ক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ অপরাপর চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোন প্রমাণ নেই। যেমন: ক্যালকেরিয়া কার্ব, সালফার ইত্যাদি। তবে এমন ঔষধও রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধ হিসেবে উল্লেখ না করলেও ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন: আর্সেনিক ইত্যাদি।  যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধগুলো একক ঔষধ হিসেবে সেবন করাই শ্রেয়। কম্বাইন্ড বা পেটেন্ট ঔষধ সেবন না করাই উচিত। একক বা পেটেন্ট ঔষধের মাদার বা স্থুল মাত্রার ঔষধ...

একাধিক হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন সেবন বিধি

Image
  একাধিক হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন পর্যায়ক্রমে বা একসাথে সেবনের বিষয়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর কোন নির্দেশনা নেই। কিন্তু অনেক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ রোগীর চিকিৎসা ক্ষেত্রে ঔষধ সেবনের বিষয়ে নিজস্ব অভিজ্ঞতালব্ধ নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন। বাজারে অনেক কম্বাইন্ড পেটেন্ট হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আছে। এগুলোও অনেক সময় বেশ সুফলদায়ক হয়। আবার অনেকে তাৎক্ষণিক ২/৩ টি  হোমিও ঔষধের মিশ্রণ কম্বাইন্ড আকারে সেবনের নির্দেশ প্রদান করে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের উপযোগিতা ও মিজাজ বা  প্রকৃতি সম্পর্কে উপযুক্ত ধারণা থাকা প্রয়োজন। আমি বলবো ক্ষেত্র বিশেষে একাধিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ পর্যায়ক্রমে বা একসাথে সেবন করা যায়। তবে এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের উপযোগিতার পাশাপাশি অবশ্যই একই মিজাজ বা প্রকৃতির হতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ ধরা যায় - একজন রোগীর অতিরিক্ত যৌনক্রিয়া করার ফলে শারীরিক উপাদানের ঘাটতি জনিত কারণে দাঁত ব্যথা ও দাঁতের ক্ষয়। এক্ষেত্রে রোগীকে দাঁতের কার্যকরী উপাদান হিসেবে Calcarea fluor দিলেন কিন্তু যে কারণে সমস্যাটির উদ্ভব হয়েছে সেটা find out করে Staphy...

ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ

Image
ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ হলো জৈব খাদ্য উপাদান যা খুব অল্প পরিমাণেই আমাদের দেহে থাকে। কিন্তু ভিটামিন এর অভাবে আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হই। ভিটামিন বি এর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এদের একত্রে  ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বলা হয়ে থাকে। বি ১, বি২, ইত্যাদি ভিটামিন বি শ্রেণির একেকটি ভিটামিন এর নাম। এদের আবার নিজস্ব নামও রয়েছে। যথা:- বি১ (থায়ামিন), বি২ (রিবোফ্লাভিন) ইত্যাদি। এছাড়াও ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ইত্যাদি ভিটামিন রয়েছে। এসব ভিটামিন বিভিন্ন প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ উপাদান যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি উৎস হতে আমরা পেয়ে থাকি। আবার ভিটামিন ঔষধ গ্রহণ করেও আমরা ভিটামিন এর অভাব পূরণ করে থাকি। এতক্ষণ ভিটামিন নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্য হলো- ভিটামিন সম্পর্কে হোমিওপ্যাথিক ও ইউনানি ডাক্তারগণের যথার্থ ধারণা না থাকা। আমি বলবো, হোমিওপ্যাথি ও ইউনানি চিকিৎসা ব্যবস্থা পিছিয়ে থাকার পেছনে এটাও একটা অন্যতম কারণ। অনেক হোমিওপ্যাথিক ও ইউনানি চিকিৎসক মনে করেন, ভিটামিন এলোপ্যাথিক চিকিৎসার অংশ। না এটা কোন একক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অংশ না। ভিটামিন সম্পর্কে প্রত্যেক চিকিৎসা বিজ্ঞানের চিকিৎসকদের সম্...