যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধ ও সেবন বিধি


 হোমিওপ্যাথিতে অনেকগুলো যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধ রয়েছে। তন্মধ্যে কতকগুলো সরাসরি যৌনশক্তিবর্ধক।

যেমন: নাক্স ভম, জিনসেং, লাইকোপোডিয়াম, এসিড ফস ইত্যাদি।  আবার কতকগুলো ঔষধ গৌনক্রিয়া হিসেবে যৌনশক্তিবর্ধক। যেমন: এসিড পিক্রিক, স্যাবাল স্যারো, স্টেফিসেগ্রিয়া, চায়না ইত্যাদি। হস্তমৈথুন, অতিরিক্ত যৌনক্রিয়ার কুফল হিসেবে উদ্ভুত শারীরিক সমস্যায় এসিড পিক্রিক, স্টেফিসেগ্রিয়া ও চায়না খুব ভালো কাজ করে। আর স্যাবাল স্যারো মূলত যৌন অর্গান প্রোস্টেট এর উপর ভালো ক্রিয়া করে। আবার কতকগুলো যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধ হিসেবে উল্লেখ থাকলেও যৌনশক্তিবর্ধক হিসেবে এর কোন ক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ অপরাপর চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোন প্রমাণ নেই। যেমন: ক্যালকেরিয়া কার্ব, সালফার ইত্যাদি। তবে এমন ঔষধও রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধ হিসেবে উল্লেখ না করলেও ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন: আর্সেনিক ইত্যাদি। 


যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধগুলো একক ঔষধ হিসেবে সেবন করাই শ্রেয়। কম্বাইন্ড বা পেটেন্ট ঔষধ সেবন না করাই উচিত। একক বা পেটেন্ট ঔষধের মাদার বা স্থুল মাত্রার ঔষধ  দীর্ঘদিন ধরে সেবন করলে যৌনশক্তি হারানোর সম্ভাবনাও থাকে। সবচেয়ে উত্তম হলো- মিজাজ ভিত্তিক সুনির্বাচিত ২০০ শক্তির ঔষধ সেবন করা। এটা আপনি দীর্ঘদিন সেবন করলেও কোন ক্ষতি হবার সম্ভবনা থাকে না। কারণ হলো- এটাই হলো আপনার রোগ ভিত্তিক চিকিৎসা। অনেকে ওয়ানটাইম ঔষধ সেবন করেন। ভালো রেজাল্টও পান। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ যেকোনো চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই ওয়ানটাইম যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধ খুবই ক্ষতিকর। এই যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধগুলো যৌন অর্গান ছাড়াও অন্যান্য অর্গানে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা এসব যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধ খেয়ে অতিরিক্ত যৌনাচার করে রক্তচাপ বেড়ে মারাও যাচ্ছেন। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ইদানিং আবাসিক হোটেলগুলোতে বেশি ঘটছে।


বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস, প্রোটেস্ট ও মূত্রতন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তারা কখনোই এসব ওয়ানটাইম যৌনশক্তিবর্ধক ঔষধ সেবন করে যৌনমিলন করবেন না। এতে আপনার রোগবৃদ্ধিসহ নানাবিধ জটিল সমস্যা হতে পারে। জীবনকে হুমকির মুখে ফেলবেন না। এসব রোগের লক্ষণ ভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক যৌন শক্তিবর্ধক সেবন করুন। আবার অনেকেরই যৌনমিলনের পর শারীরিক ব্যথা বেড়ে যায়, হাঁটাচলা কষ্ট হয় তারাও হোমিওপ্যাথিক লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা নিবেন। কারোর যৌনমিলনের পর প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না বা প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া দেখা দেয়। এগুলো যৌনমিলন পরবর্তী নারী বা পুরুষের কমন রোগ। এসবের সঠিক চিকিৎসা না নিলে বা রোগ ভিত্তিক সঠিক ঔষধ সেবন না করলে বড় ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। ফলে কারো প্রোস্টেট ক্যান্সার হতে পারে বা কারো কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে ইত্যাদি নানাবিধ জটিল রোগের সৃষ্টি হতে পারে।

Comments