মেয়েদের স্তনের বিভিন্ন রোগ চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি



মেয়েদের বয়সভেদে ও বিভিন্ন অবস্থায় স্তনের বিভিন্ন রোগ হতে পারে। অনেক সময় উপযুক্ত সময়ের পূর্বেই  মেয়েদের স্তনের রোগ দেখা যায়। মেয়েদের পরিণত বয়সে মাসিক চলাকালে, গর্ভ কালে, শিশুকে স্তন্যদান স্তনের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। এছাড়া মেয়েদের একটি কমন রোগ সাদাস্রাব থেকেও স্তনের রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে। 


রোগভেদে স্তনের চিকিৎসায় যেসব হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করা যেতে পারে তা নিম্নরূপ:

১. ফইটোলক্কা

২. ল্যাক ক্যান

৩. কোনিয়াম

৪. স্যাবাল

৫. আয়োডাম

৬. কার্বো এনি

৭. গ্রাফাইটিস 

৮. মার্ক সল 

৯. ক্যামোমিলা

১০. ক্যাল কার্ব

১১. ক্যাল ফস

১২. বেলাডোনা

১৩. ব্রায়োনিয়া ইত্যাদি। 


উপযুক্ত সময়ের পূর্বেই যেসব মেয়েদের যৌন বাসনা তৈরি হয়, স্তন স্ফীত হয় তাদের চিকিৎসায় ক্যাল কার্ব ফলপ্রসূ। শিশুর স্তন স্পর্শকাতর হলে ক্যামোমিলা সেব্য।


স্তনদ্বয় শিথিল ও সংকোচিত। ঋতুস্রাবের আগে ও পরে স্তনের বোঁটা বা স্তন বেদনাদায়ক হলে কোনিয়াম। স্তন সংকোচিত ও স্তনের বোঁটা ও এরোলা অংশে ছোট ছোট চর্মের গুটিকা থাকলে আয়োডাম। যৌন আকাঙ্খা হ্রাস এবং স্তনের অপূর্ণতায় স্যাবাল স্যারু সেব্য।


স্তনের যন্ত্রণাদায়ক কাঠিন্য হলে কার্বো এনি। সঙ্গমে বিরক্তিসহ স্তনের স্ফীতি ও কাঠিন্য এবং স্তনের বোঁটায় ঘা, দলা দলা ও ফোস্কাযুক্ত হলে গ্রাফাইটিস সেব্য।

মাসিক ঋতুস্রাবের আগে ও ঋতুস্রাবের সময় স্তনদ্বয় অত্যন্ত কঠিন ও স্পর্শকাতর।  শিশুকে দুধ দেবার সময় ব্যথা স্তনের বোঁটা থেকে সারা দেহে ছড়িয়ে পরলে ফাইটোলক্কা সেব্য।


ঋতুস্রাবের পূর্বে স্তন গ্রন্থির স্ফীতি,  স্তনের প্রদাহ, সামন্য ঝাঁকুনিতে অত্যন্ত ব্যথা লাগলে ল্যাক ক্যান।

স্তনের বোঁটার প্রদাহে স্তন অত্যন্ত স্পর্শকাতর হলে ক্যামোমিলা  সেব্য। স্তনের বোঁটা রক্তিম, স্তনে ভারবোধ, স্তনদ্বয় শক্ত, লাল ও বেদনাদায়ক হলে বেলাডোনা।

মাসিক ঋতুস্রাবের সময় বেদনা, স্তনদ্বয় উত্তপ্ত, শক্ত ও বেদনাদায়ক হলে ব্রায়োনিয়া সেব্য।


ঋতুস্রাবকালে স্তনদ্বয়ের স্পর্শকাতর স্ফীতি, অত্যধিক পরিমাণে দুধ নিঃসরণ হলে ক্যাল কার্ব। অত্যধিক দুধ নিঃসরণ ল্যাক ক্যানেও আছে। সাধারণত যাদের বুকের দুধ বেশি তাদের দুধ শুকানোর জন্য ঔষধটি বহুল ব্যবহৃত হয়।


স্তন্যদানকালে কামোত্তেজনার উদয় হলে ক্যাল ফস।

যে সব শিশু বিশ্বাদের জন্য স্তন্যপান করতে চায় না সেসব মায়েদের ক্যাল ফস সেব্য। যেসব মায়েদের স্তন্যদানকালে যোনিপথে রক্ত আসে তাদের সাইলেসিয়া সেব্য।


স্তন্যবৃন্ত বা স্তনের বোঁটা ভিতরের দিকে ঢোকে থাকলে হাইড্রাসটিস, সার্সাপেরিলা ও সাইলেসিয়া  লক্ষণ অনুযায়ী সেব্য। অনেক মায়েদের স্তনের বোঁটা ভিতরের দিকে থাকায় শিশু স্তন্যপান করতে পারে না।


যতটা সম্ভব স্তনের বিভিন্ন রোগের বর্ণনা ও ঔষধ উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও লক্ষণ সদৃশ আরো অনেক ঔষধ রয়েছে। সবগুলোর বর্ণনা এখানে সম্ভব নয়।


মো: আশরাফুল আলম খান 

ডিএইচএমএস, ডিইউএমএস 

এম.এ (সাধারণ শিক্ষা) 

ফোন: ০১৭২৮৭৩০৪৭৪।

Comments